ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটির নাম ‘মিনিস্টার বাড়ি’। এমন নামকরণের কারণ বাড়িটি বানিয়েছিলেন তৎকালীন বৃহত্তর আসামের শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল হামিদ।


আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ আব্দুল হামিদ তৎকালীন বিধানসভার স্পিকার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে দেশ ভাগের পর তৎকালীন পাকিস্তান সরকারে শিক্ষামন্ত্রী ও বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।


আব্দুল হামিদের বোন হাফিজা বানু ছিলেন আইনজীবী আবু আহমদ আব্দুল হাফিজের মা এবং বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবুল মোমেনের দাদী।


এই বাড়িটির সঙ্গে মিশে আছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর স্মৃতি। তিনি এক সময় এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন।


অনেক পুরনো ঐতিহাসিক স্থাপনা মতোই এবার হাতুড়ি শাবলের আঘাতে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নগরীর পাঠানটুলা এলাকার ‘মিনিস্টার বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি। 


ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় মালিকপক্ষই ঐতিহাসিক এ বাড়িটি ভেঙে ফেলছে বলে জানা গেছে। তবে নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন ও প্রাচীন এই বাড়িটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আক্ষেপ করেছেন স্থানীয়রা।

Single News Bottom

শেয়ার করুনঃ

ইতিহাস-ঐতিহ্য থেকে আরো পড়ুন

ঐতিহ্যবাহী, স্থাপনা, ‘মিনিস্টার বাড়ি’, নামকরণ, আসাম, শিক্ষামন্ত্রী, আব্দুল হামিদ