তিন উপজেলার দুঃখ ‘চন্ডিডহর’, সেতুর দাবি লাখো মানুষের
দৈনন্দিন
প্রকাশঃ ২৫ অক্টোবর ২০২৫
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের নলুরা গ্রামের প্রধান সড়ক আজও পাকা হয়নি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও কয়েক দশক ধরে কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পুরো গ্রামের মানুষকে। সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে গ্রামের সাধারণ মানুষ নানা উন্নয়নমূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বর্ষার সময় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। বছরের ছয় মাসের বেশি সময় কাদা ও জলে ভরা থাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। শুকনো মৌসুমে কাদা শুকিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হয়। গ্রামটির প্রায় এক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই একমাত্র সংযোগ সড়ক ব্যবহার করেন স্থানীয় বাজার, স্কুল–কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য। বিশেষত শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীদের চলাচলে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
গ্রামবাসী জানান, কয়েক বছর ধরে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানানো হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। নির্বাচনের সময়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে কাজ হয়নি।
নলুরার বাসিন্দা কাজল দেবনাথ বলেন, ‘বর্ষা বা শুকনো মৌসুম উভয় সময়েই রাস্তায় পানি ও কাদা থাকে। অসুস্থ রোগী হাসপাতালে নিয়ে যেতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা জরুরি।’
প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী রুপা দাস বলেন, ‘এটি আমাদের গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তা। কাদা ও জলমগ্ন থাকার কারণে স্কুলে নিয়মিত যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত পাকা হলে পুরো গ্রামের দুর্ভোগ কমবে।’
দোয়ারাবাজার উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ জানান, রাস্তার অবস্থা সরেজমিনে দেখা হবে এবং প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ, নলুরা, গ্রামবাসী