ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য ও যোগাযোগের প্রাণরেখা। দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক) করিডোরের অংশ হিসেবে ২০২১ সালে এই মহাসড়কটি ছয় লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়।

 

ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল—এ মহাসড়ক হবে দেশের সবচেয়ে আধুনিক সড়কপথগুলোর একটি। তবে ১৬ হাজার ৯১৯ কোটি টাকার এই প্রকল্প ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ১৫ শতাংশ।

 

ধীরগতির উন্নয়নে এখন এই মহাসড়কই পরিণত হয়েছে জনদুর্ভোগের প্রতীকে। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ডুবে গেছে ধুলাবালি, যানজট আর ভাঙাচোরা রাস্তায়।

 

ঢাকা থেকে সিলেটের যাত্রাপথের এই মহাসড়কের ২২১ কিলোমিটার পথ এখন যাত্রীদের কাছে এক দুঃস্বপ্ন। আগের দুই লেনের মহাসড়ক দিয়ে যেখানে ৫–৬ ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছানো যেত, এখন সেখানে সময় লাগে কমপক্ষে ১০–১২ ঘণ্টা, কখনো তারও বেশি।
 

পুরনো রাস্তা কেটে নতুন কাজ শুরু হওয়ায় বহু অংশে চলছে এক লেনের যান চলাচল। কোথাও কোথাও রাস্তার বেহাল অবস্থা এমন, গাড়ি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতি তুলতে পারে না।

 

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন চাকরি করেন ঢাকায়। প্রতিমাসেই একবার বাড়িতে যাতায়াত করতে হয় তাকে। কয়েকবছর আগেও যে পথ অতিক্রম করতে তার সময় লাগতো ৬ থেকে ৭ ঘন্টা, সেই পথে এখন সময় লাগে ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা।

 

জায়গায় জায়গায় কাজ চলছে, প্রচুর যানজট থাকে। কিন্তু মহাসড়কের কাজ চলছে, তাই খুব বেশি কিছু বলার নেই। তবে সব কাজেরতো একটা শেষ থাকে, কিন্তু এই কাজের শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনাই দেখছি না’- বলেন তিনি।

 

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রেজাউল করিম মোস্তাক বলেন, ‘অফিসের কাজে নিয়মিত ঢাকায় যাতযায়াত করতে হয়। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, রাস্তার অবস্থা খারাপ হচ্ছে, যানজট বাড়ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তায় যাতায়াত করে, কিন্তু কী পরিমাণ কষ্ট হয় তা যে যাতায়াত করেনি সে বুঝবে না।’

 

আল–মোবারাকা পরিবহনের চালক মোহাম্মদ শহীদ ১৮ বছর ধরে এই রুটে গাড়ি চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৬টায় রওনা দিলে দুপুরের আগেই সিলেটে পৌঁছাতাম। এখন রাত হয়ে যায়। যাত্রীদের কষ্ট, ড্রাইভারদের কষ্ট—সব মিলিয়ে এই রুট এখন যন্ত্রণার নাম।’

 

কাজের ধীরগতির নেপথ্যে যা

 

ঢাকা–সিলেট করিডোর প্রকল্পটি মোট ১৩টি প্যাকেজে ভাগ করে ১৩ জন ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে। প্রকল্পে রয়েছে ৬৬টি সেতু, ৩০৫টি কালভার্ট, ৬টি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ৩৭টি ইউটার্ন ও ২৬টি ফুটব্রিজ।

 

প্রকল্পটির বাজেট ১৬ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা। এর এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা এবং সরকারের অংশ ৩ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, প্রকল্পটি মূলত আটকে আছে জমি অধিগ্রহণের জটিলতা ও বিদ্যুৎ–গ্যাস লাইন স্থানান্তরের কাজ বিলম্বের কারণে। 


 ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে ২০২১-২২ সালে দায়ের করা ৬৬টি মামলার মধ্যে ৫৬টি মামলা এখনো নিষ্পত্তি না হওয়ায় অনেকাংশে ঠিকাদাররা কাজ শুরুই করতে পারেননি।

 

২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ব্যয়ের অগ্রগতি মাত্র ২০ শতাংশ (৩,৩৮০ কোটি টাকা) হলেও ভৌত অগ্রগতি মাত্র ১৫ শতাংশ।

 

এ প্রকল্পের পরিচালক এ কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, ‘এই অবস্থায় ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।’

 

আশুগঞ্জ–সরাইল: দুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দু

 

ঢাকা–সিলেট রোডের সবচেয়ে ভয়াবহ অংশ এখন আশুগঞ্জ–সরাইলের ১১ কিলোমিটার সড়ক। তবে এটি মূল করিডোর প্রকল্পের আওতাধীন নয়, বরং ভারতীয় অর্থায়নে চলমান ‘আশুগঞ্জ রিভারপোর্ট–আখাউড়া ল্যান্ডপোর্ট চার লেন হাইওয়ে প্রকল্প’-এর অংশ। 

২০১৭ সালে ভারতীয় কোম্পানি আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড কাজ শুরু করলেও অগ্রগতি প্রায় স্থবির। গত বছরের জুলাই বিপ্লব ও ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ভারতীয় ঠিকাদার ও কর্মীরা নিরাপত্তাজনিত কারণে কাজ বন্ধ করে দেশ ত্যাগ করেন। 

 

এরপর থেকেই আশুগঞ্জ–সরাইল অংশে গর্ত, ধুলাবালি আর যানজটে পরিণত হয়েছে দুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দু।

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ফজলুল করিম বলেন, ‘ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের সবচেয়ে ভয়াবহ যানজট হচ্ছে আশুগঞ্জ–সরাইল এলাকায়। এখানে রাস্তার বেহাল অবস্থা এবং গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল প্রায় অসম্ভব।’

 

পুরাতন সড়কের মেরামতহীনতায় বাড়ছে ভোগান্তি

 

একদিকে নতুন মহাসড়কের নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে যেমন বাড়ছে দুর্ভোগ, অপরদিকে পুরাতন সড়ক গত ৫ বছরে ঠিকমতো মেরামত না করায় বেড়েছে দুর্ভোগ। 

 

সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় সিলেট নগরী থেকে বের হয়ে জাতীয় হাইওয়েতে উঠার পর থেকে রাস্তার অবস্থা বেহাল। বেশিরভাগ অংশের রাস্তা খানাখন্দে ভরা।

 

সিলেট পেরিয়ে হবিগঞ্জের অংশে রাস্তার অবস্থা আরো বেহাল। রাস্তায় ঘনঘন বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। অনেকাংশে রাস্তার বিটুমিন কার্পেটিং উঠে গিয়েছে। 

 

এছাড়াও যেসকল অংশে মহাসড়কের কাজের জন্য পুরাতন মহাসড়কের একটি লেন চালু রয়েছে, সেখানটাও খানাখন্দে ভরা। আর বৃষ্টি হলেই এসকল খানাখন্দে পানি ভরে এবং কার্পেটিং উঠে যাওয়া অংশ কাঁদা হয়ে ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।

 

চাপ বেড়েছে ট্রেন ও বিমানে 

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাতায়াতের ভোগান্তির কারণে ট্রেন ও বিমানে যাতায়াতে আগ্রহ বেড়েছে যাত্রীদের। আর অতিরিক্ত এ যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে রেলওয়ে এবং বিমান পরিষেবা।

 

সিলেট থেকে ঢাকা রুটে পরিচালিত বেসরকারি বিমান সেবা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এয়ারএস্ট্রা এবং নোভোএয়ার জানিয়েছে তাদের টিকেটের চাহিদা এখন তুঙ্গে। 

 

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ঢাকা-সিলেট রুটে প্রতিদিন ৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং গত সপ্তাহের সবকটি ফ্লাইট ৯০-৯৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে উড়েছে।

 

নোভোএয়ারের মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিরেক্টর সোহেল মজিদ জানান, নোভোএয়ার এখন শতভাগ পূর্ণ হয়েই এই রুটে বিমান পরিচালনা করছে।

 

এয়ারএস্ট্রার উপ-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) হাসান শুভও জানান এই রুটের কোন ফ্লাইটেই এখন কোন সিট খালি থাকছে না।

 

সড়কপথের বিকল্প হিসেবে আরো সুলভ ও আরামদায়ক যাতায়াত ব্যবস্থা ট্রেন। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে জর্জরিত বাংলাদেশ রেলওয়ে।

 

প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট রেলপথে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হলেও ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে ট্রেন। একদিকে যেমন অনলাইন-অফলাইনে পাওয়া যায় না টিকেট, তার উপরে এই অতিরিক্ত বিনা টিকেটের যাত্রীর চাপে রেল যাতায়াতও হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। 

 

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন আরিফ বলেন, ‘গত জুলাই থেকে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে রেলওয়ের উপর। এ চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীণ বলেন, ‘ইতিমধ্যে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হয়েছে প্রতিটি ট্রেনে। কিন্তু চাহিদা এবং রেলওয়ের আগ্রহ থাকার পরেও লোকোমোটিভ ইঞ্জিন সংকটে এই রুটে নতুন স্পেশাল ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না।’

 

অচিরেই হচ্ছে না সমাধান, দীর্ঘায়িত হবে ভোগান্তি

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ সময়ের কাজ শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক একেএম ফজলুল করিম।

 

তিনি বলেন, ‘আপাতত অসমাপ্ত ভূমি অধিগ্রহণ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার পর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেয়া ছাড়া উপায় নেই।’

 

সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তলবে প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত হয়েও এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়কে।

 

তবে আশুগঞ্জ-সরাইল অংশের ভোগান্তি অচিরেই অনেকটা কমে আসবে বলে তিনি জানান। ভারতীয় ফান্ডের এই প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদার ও কর্মীরা ইতিমধ্যেই ফিরে এসে কাজ শুরু করেছে এবং দ্রুতই এই অংশের অচলাবস্থা নিরসন হবে বলে জানান।

 

তিনি বলেন, ‘মহাসড়কের বাকি আমাদের যে অংশটুকু রয়েছে, সেখানেও রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। কিন্তু পুরাতন রাস্তা যেহেতু ভেঙে ফেলতে হবে, তাই আমরা খুব বেশি মেরামতও করতে পারছি না, বাজেট কম থাকায় বেশি কাজও করতে পারছি না।’

 

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং বাজেট পেলে পুরাতন রাস্তা যথাসম্ভব মেরামত করার মাধ্যমে ভোগান্তি কিছুটা কমানো হবে বলেও তিনি জানান।

 

উপদেষ্টার পরিদর্শনে স্বস্তি, পরদিন থেকে ফের আগের অবস্থা

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জনভোগান্তি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার প্রেক্ষিতে গত বুধবার এ মহাসড়ক পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খাঁন। 

 

তবে যাত্রা শুরুতেই দীর্ঘ তিনঘন্টার যানজটে আটকা পরে উপদেষ্টা। পরে গাড়ি রেখে মোটরসাইকেলযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছে নাজুক মহাসড়কটি পরিদর্শন করেন তিনি।

 

সে সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, যানজটের কারণে যে ভোগান্তি হচ্ছে, এর জন্য দায়ী ট্রাফিক বিভাগ এবং অচিরেই এই সমস্যার সমাধান করা হবে। 

 

এছাড়াও তিনি সেদিন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১২ কর্মকর্তাকে ঢাকায় না গিয়ে আশুগঞ্জ-সরাইল এলাকায় সাইট কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক অবস্থান করে দ্রুত কাজ এগিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেন।

 

উপদেষ্টার নির্দেশে স্বস্তি দেখা দিলেও মহাসড়কের অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। এমনকি কর্মকর্তাদের এলাকায় উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হলেও পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কর্মকর্তারা কার্যালয় তালাবদ্ধ রেখে এলাকার বাইরে অবস্থান করেন।

 

বাড়ছে নাগরিক চাপ, শুরু হচ্ছে কঠোর কর্মসূচি

 

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাড়তে থাকা জনদুর্ভোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে সিলেটে। ইতিমধ্যেই নগরীতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলন। কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

 

সিলেটের উন্নয়ন বঞ্চনা এবং বৈষম্যের প্রতিবাদে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ফুটপাতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন একদল তরুণ। 

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার দাবিসহ ৭দফা দাবির এ কর্মসূচি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

 

সিলেটের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের প্রতি উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা নগরীর সকল দোকানপাট ও যানবাহন বন্ধ রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

 

অন্যদিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সোমবার দুপুর ১২টায় হুমায়ুন রশীদ চত্বরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে গণঅবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন।

 

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সড়ক উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধিদল। 

 

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ চার সদস্যের এ প্রতিনিধিদল উপদেষ্টাকে এ সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর কর্মকৌশল নির্ধারণের অনুরোধ করেন।

Single News Bottom

শেয়ার করুনঃ

দৈনন্দিন থেকে আরো পড়ুন

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, জনদুর্ভোগ, কজের ধীরগতি, যানজট