
প্রায় এক সপ্তাহের অপেক্ষার পর দেশে ফিরল জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর দ্বীপঙ্কর দাস দ্বীপের মরদেহ। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে গোপালটিলায় পৌঁছালে তার বাড়ির সামনে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ছেলের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা–বাবা, আত্মীয়–স্বজন ও এলাকার মানুষ।
গোপালটিলায় নির্মিত বেদীতে তার কফিন রাখা হলে সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। সবার অনুরোধে মুহূর্তের জন্য কফিন উন্মুক্ত করলে আরও বাড়ে কান্নার রোল। দ্বীপের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকায়।
বক্তারা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, অল্প বয়সেই দ্বীপ ছিল সবার প্রিয় মুখ। নিজের হাসিতে মানুষকে হাসানোই ছিল তার নেশা। অমায়িক ব্যবহার, বড়দের প্রতি সম্মান আর ছোটদের প্রতি স্নেহ সব মিলিয়ে মাত্র ২১ বছরেই সবার হৃদয় জয় করেছিলেন তিনি।
জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও বিভিন্ন স্থান থেকেও তার ভক্তরা ছুটে আসেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। পরিবার ও এলাকাবাসী গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান দ্বীপের বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের জন্য।
পরে সিলেট থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়ি গ্রামে। সেখানেও মানুষের ঢল নামে। দুপুর একটার দিকে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয় তার মরদেহ। এর আগে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার ভোরে মারা যান তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য মাত্র মাসখানেক আগে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন দ্বীপ। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।
শেয়ার করুনঃ
দৈনন্দিন থেকে আরো পড়ুন
সিলেট, দ্বীপ, দ্বীপঙ্কর দাস দ্বীপ, গোপালটিলা, হবিগঞ্জ

